Recent Posts

6/recent/ticker-posts

স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্বাস করতেন

 



 স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্বাস করতেন

মানুষের ভেতরে যে অসীম শক্তি এবং সম্ভাবনা রয়েছে, তা জাগ্রত করা। স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি মানুষের মধ্যে চেতন এবং অচেতন অবস্থায় শক্তি আছে, যা সঠিক পথে পরিচালিত হলে মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে। এখানে তিনি সেই আগুন বা উদ্দীপনার প্রতীকী ব্যবহার করেছেন, যা প্রত্যেকের ভেতরে সুপ্ত থাকে।


স্বামী বিবেকানন্দ আলস্য, অক্ষমতা, এবং পরনির্ভরতাকে মানুষের উন্নতির পথে বড় বাধা হিসেবে দেখেছেন। এখানে তিনি মানুষকে উদ্দীপিত করেছেন নিজেদের শক্তিকে কাজে লাগাতে এবং অন্যের উপর নির্ভর না করে নিজের প্রচেষ্টায় সফল হতে।


তিনি বিশেষভাবে যুবসমাজকে আহ্বান করেছেন, কারণ যুবকেরাই সমাজ পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি। তাদের মধ্যেই রয়েছে সেই উদ্যম, যা সমাজের বিভিন্ন বাধা দূর করতে পারে। তিনি চেয়েছেন, যুবসমাজ যেন নিজেদের ভেতরের আগুনকে (প্রচেষ্টা, উৎসাহ) জ্বালিয়ে রাখে এবং জড়তা দূর করে সক্রিয়ভাবে কাজ করে।


এখানে "মন-মুখ এক করার" কথা বলা হয়েছে। এর মানে হলো, মানুষের চিন্তা ও কাজের মধ্যে যেন সমন্বয় থাকে। এটি আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিচারিতা ও দ্বিধা মানুষের অভ্যন্তরীণ শান্তি নষ্ট করে। স্বামী বিবেকানন্দ চেয়েছেন মানুষ তার জীবনকে সত্য, ন্যায় এবং আদর্শের ভিত্তিতে গড়ে তুলুক।


এই বাণী মানুষকে তাদের দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করে। দায়িত্ব এড়িয়ে চলার পরিবর্তে নিজেকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করে শক্তিশালী হওয়া স্বামীজির অন্যতম শিক্ষা।


স্বামী বিবেকানন্দের এই উক্তি কেবল একটি অনুপ্রেরণামূলক বাণী নয়, বরং এটি মানুষের আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের শেখায়: নিজের উপর বিশ্বাস রাখা, অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগ্রত করা এবং আলস্য, পরনির্ভরতা এবং দ্বিধা পরিত্যাগ করে একাগ্র চিত্তে জীবনের লক্ষ্য অর্জনে মনোনিবেশ করা।


এই শিক্ষাগুলো আধুনিক যুগেও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্যের চাবিকাঠি হতে পারে।


✍️ রতন কর্মকার

Post a Comment

0 Comments