কুণ্ডলিনী শক্তির উত্থানের প্রধান পথ
মেরুদণ্ডের মধ্যে অবস্থিত একটি সূক্ষ্ম নাড়ি, যা যোগশাস্ত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কুণ্ডলিনী শক্তির উত্থানের প্রধান পথ এবং সাতটি চক্রকে সংযুক্ত করে। সুষুম্না নাড়ি হলো সেই মাধ্যম, যার মাধ্যমে ব্যক্তি আধ্যাত্মিক উন্নতির শীর্ষে পৌঁছায়।
সুষুম্না নাড়িকে সরস্বতী নদীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। কারণ, সরস্বতী নদী যেমন চোখে দেখা যায় না, তেমনি সুষুম্না নাড়ি দেহের ভেতরে সূক্ষ্ম স্তরে কাজ করে। সরস্বতীর মতোই, সুষুম্না নাড়ি জ্ঞান, সৃষ্টিশীলতা এবং আধ্যাত্মিক শক্তির মূলধারা।
সরস্বতীকে জ্ঞানের দেবী বলা হয়, কারণ তাঁর শক্তি সুষুম্না নাড়ির মাধ্যমে জীবনের উচ্চতর স্তরকে সক্রিয় করে তোলে। সুষুম্না নাড়ি দিয়ে কুণ্ডলিনী শক্তি উঠে গেলে ব্যক্তি আলোকিত হয়ে ওঠে।
কুণ্ডলিনীর মূলাধার চক্রে সুপ্ত অবস্থায় থাকে এবং সুষুম্না নাড়ি দিয়ে উত্থান ঘটে। এই শক্তিকে সরস্বতীর শক্তি বলা হয়েছে, কারণ এটি জীবনের জাগরণ এবং চেতনার মূল উৎস।
কুণ্ডলিনী জাগরণ হলে ব্যক্তি ধীরে ধীরে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের শীর্ষে পৌঁছায়। চক্রগুলো সক্রিয় হওয়ার মাধ্যমে দেহে বিভিন্ন বর্ণ এবং শক্তি প্রকাশ পায়, যা সরস্বতীর দীপ্তির সঙ্গে তুলনীয়।
কুণ্ডলিনী শক্তি কেবল মানবদেহে নয়, সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে উপস্থিত। এটি বোঝায়, সরস্বতীর মতোই এই শক্তি বিশ্বজগতের প্রতিটি কোণে বিদ্যমান এবং সৃষ্টির চক্রকে চালিত করে।
সরস্বতী দেবীকে কেবল জ্ঞান এবং সৃষ্টিশীলতার দেবী হিসেবে নয়, বরং কুণ্ডলিনী শক্তির প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি মনের অন্ধকার দূর করে জ্ঞানের আলো প্রজ্জ্বলিত করেন এবং ব্যক্তি ও বিশ্বজগতের মধ্যে একটি গভীর সংযোগ স্থাপন করেন। সুষুম্না নাড়ি, চক্রসমূহ এবং কুণ্ডলিনী শক্তির মাধ্যমে তিনি জীবন ও চেতনার প্রতিটি স্তরকে প্রভাবিত করেন। সরস্বতী কেবল দেহের নয়, সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের চেতনার প্রতীক, যা জ্ঞান, শক্তি, এবং সৃষ্টির ধারাকে বহমান রাখে।
ক্রিয়াযোগ সম্পর্কে জানতে :
https://youtube.com/channel/UCXMnf7gKAl5SXQ1kivkaY6g?si=I7SFAvm_nvp1QBCE
✍️ ব্যাখ্যাঃ রতন কর্মকার (whatsapp: +8801811760600)
0 Comments