Recent Posts

6/recent/ticker-posts

কালা যাদু (পর্ব : ০৪) *#অদৃশ্য_ছায়ার_পায়ের_ধ্বনি

 



কালা যাদু


(পর্ব : ০৪)

*#অদৃশ্য_ছায়ার_পায়ের_ধ্বনি

ততদিনে আমরা সকলেই বুঝে গিয়েছিলাম—আমাদের সংসারটা কিছু অদ্ভুত জিনিসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ব্যাখ্যাতীত, অস্বাভাবিক, কিন্তু অস্বীকার করার মতো নয়।

মায়ের অজানা অসুখের ঘটনা যখন চতুর্থবারের মতো ঘটে, তখন আমরা আর সেটা কাকতালীয় বলে পাশ কাটাতে পারিনি। ঠিক তখন থেকেই আমি টের পেতে শুরু করি—ঘরের মধ্যে কিছু একটা আছে।

কিছু একটা… যেটা জ্যান্ত নয়, কিন্তু মৃতও নয়।

প্রথম ঘটনাটা ঘটল এক রাতে। রাত ২টা বাজে, আমি তখন পড়াশোনা করছিলাম। হঠাৎ শব্দ পেলাম—বুকিং ঘরের দরজার সামনে ধীরে ধীরে কারও পায়ের আওয়াজ। খট খট... থেমে থেমে... যেন কেউ খুব ধীরে পা ফেলছে, ঠিক যেন ওজন টেনে নিয়ে হাঁটছে।

আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে শুনতে লাগলাম। বাবা-মা ঘুমিয়ে, দাদা ঘুমাচ্ছে, বোনও নিজের ঘরে। আমি সাহস করে দরজা খুলে বাইরে তাকালাম—কাউকে দেখলাম না। করিডোর ফাঁকা, বাতি জ্বলছে।

কিন্তু গায়ের লোম সেদিন প্রথমবার একসঙ্গে খাড়া হয়ে উঠেছিল। কারণ আমি স্পষ্ট জানতাম—এই শব্দটা কল্পনা নয়। আমি সেটাকে “শুনেছি”, কোনো সন্দেহ ছিল না।

পরদিন সকালে আমি কিছু বলিনি, কিন্তু মায়ের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম—তিনি ঠিক যেন কিছু আঁচ করতে পারছেন। মুখটা ক্লান্ত, কিন্তু চোখে চিন্তার ছায়া।

সেইদিন দুপুরে মা আচমকা বললেন,

“জয়ন্ত, তোরা কেউ রাতে কোনো শব্দ শুনিস?”

আমি এক মুহূর্ত থেমে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “কেন মা?”

মা একটু ইতস্তত করে বললেন,

“কাল রাত ৩টা নাগাদ আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি—আমার বিছানার পায়ের পাশে কেমন যেন ঠান্ডা একটা বাতাস ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঘরে সবকিছু বন্ধ, কোনো জানালা খোলা না, কিন্তু কেমন যেন একটা গন্ধ, ধোঁয়া ধোঁয়া, ভারি লাগছিল।”

আমি তখন আর নিজেকে থামাতে পারলাম না। বলেই ফেললাম, “মা, আমি রাত ২টার সময় বুকিং ঘরের সামনে পায়ের আওয়াজ শুনেছি। দরজা খুলে দেখি কেউ নেই।”

মা চুপচাপ হয়ে গেলেন। অদ্ভুতভাবে তিনি অবাক হলেন না। যেন এই জিনিসটা তিনি অনেকদিন ধরে টের পাচ্ছিলেন, শুধু সাহস করে কাউকে বলেননি।

এরপর থেকেই অদ্ভুত ঘটনা যেন বেড়েই চলল।

দাদা একদিন বলল, “রাতের বেলা কেউ যেন আমাকে দেখে হেসে চলে যাচ্ছে, আবার চোখ খুললে কেউ নেই।”

বোন বলল, “আমি রাতে দরজার ওপাশে কারা কথা বলছে শুনি। এক পুরুষ কণ্ঠ, এক মহিলা—কিন্তু কথা বোঝা যায় না।”

একদিন সকালে উঠে দেখি রান্নাঘরের দেওয়ালে হালকা করে লালচে রঙে আঁচড়ের মতো দাগ—যেন কেউ নখ দিয়ে আঁচড়ে দিয়ে গেছে, কিন্তু কেউ জানে না সেটা কখন হল।

আমাদের ঘরে সকালবেলা সুগন্ধি ধূপ জ্বালানোর নিয়ম ছিল। হঠাৎ একদিন দেখা গেল, ধূপটা একদম অর্ধেক পর্যন্ত জ্বলে থেমে গেছে—যেন কেউ নিজে হাতে নিভিয়ে দিয়েছে।

আর সবচাইতে ভয়ানক ঘটনা ঘটল কয়েকদিন পর—এক রাতে মা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কথা বলতে লাগলেন।

আমি পাশেই ছিলাম। হঠাৎ দেখি মা খুব অস্বাভাবিক কণ্ঠে বিড়বিড় করছেন। কান পেতে শুনি, তিনি বলছেন—

“তুই আমার পথ আটকাস না... আমি ওদের নিয়ে যাব... সব নিয়ে যাব... ওরাও যাবে...”

এই কণ্ঠটা ছিল মায়ের নয়।

এই কণ্ঠ ছিল রুক্ষ, গভীর, পুরুষালি এবং অদ্ভুত।

আমি কাঁপতে কাঁপতে মাকে না জাগিয়ে শুধু ধূপের ধোঁয়া ছড়িয়ে দিলাম। গঙ্গাজলের বোতল মাথার পাশে রেখে দিলাম।

পরদিন সকালে মা কিছুই মনে করতে পারলেন না।

তখন আমরা বুঝে গেলাম—এটা শুধু হিংসা নয়, শুধু অভিশাপ নয়—এটা কোনো সচেতন কালো শক্তির প্রভাব।

এবং সেই কালো শক্তি এখন আমাদের ঘরেই ঢুকে গেছে।

আমাদের বিশ্বাস, সম্পর্ক, আর বাস্তবতাকে ধীরে ধীরে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে।

আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম—আমাদের কাকারাই কি এর পেছনে?

তারা কি সত্যিই এমন কিছু করিয়ে নিয়েছে?

আমাদের শেষ করার জন্য এতদূর যেতে পারে?

এই প্রশ্নের উত্তর আমি তখনও জানতাম না।

কিন্তু আমি জানতাম—আর চুপ করে থাকা যাবে না।

আমাদের কিছু একটা করতেই হবে।

কালা যাদু

পর্ব ৪:

অদৃশ্য ছায়ার পায়ের ধ্বনি

ততদিনে আমরা সকলেই বুঝে গিয়েছিলাম—আমাদের সংসারটা কিছু অদ্ভুত জিনিসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ব্যাখ্যাতীত, অস্বাভাবিক, কিন্তু অস্বীকার করার মতো নয়।

মায়ের অজানা অসুখের ঘটনা যখন চতুর্থবারের মতো ঘটে, তখন আমরা আর সেটা কাকতালীয় বলে পাশ কাটাতে পারিনি। ঠিক তখন থেকেই আমি টের পেতে শুরু করি—ঘরের মধ্যে কিছু একটা আছে।

কিছু একটা… যেটা জ্যান্ত নয়, কিন্তু মৃতও নয়।

প্রথম ঘটনাটা ঘটল এক রাতে। রাত ২টা বাজে, আমি তখন পড়াশোনা করছিলাম। হঠাৎ শব্দ পেলাম— ঘরের দরজার সামনে ধীরে ধীরে কারও পায়ের আওয়াজ। খট খট... থেমে থেমে... যেন কেউ খুব ধীরে পা ফেলছে, ঠিক যেন ওজন টেনে নিয়ে হাঁটছে।

আমি চুপচাপ বসে শুনতে লাগলাম। বাবা-মা ঘুমিয়ে, বোনও নিজের ঘরে। আমি সাহস করে দরজা খুলে বাইরে তাকালাম—কাউকে দেখলাম না। করিডোর ফাঁকা, বাতি জ্বলছে।

কিন্তু গায়ের লোম সেদিন প্রথমবার একসঙ্গে খাড়া হয়ে উঠেছিল। কারণ আমি স্পষ্ট জানতাম—এই শব্দটা কল্পনা নয়। আমি সেটাকে “শুনেছি”, কোনো সন্দেহ ছিল না।

পরদিন সকালে আমি কিছু বলিনি, কিন্তু মায়ের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম—তিনি ঠিক যেন কিছু আঁচ করতে পারছেন। মুখটা ক্লান্ত, কিন্তু চোখে চিন্তার ছায়া।

সেইদিন দুপুরে মা আচমকা বললেন,

“জয়ন্ত, তুই রাতে কোনো শব্দ শুনিস?”

আমি এক মুহূর্ত থেমে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “কেন মা?”

মা একটু ইতস্তত করে বললেন,

“কাল রাত ৩টা নাগাদ আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি—আমার বিছানার পায়ের পাশে কেমন যেন ঠান্ডা একটা বাতাস ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঘরে সবকিছু বন্ধ, কোনো জানালা খোলা না, কিন্তু কেমন যেন একটা গন্ধ, ধোঁয়া ধোঁয়া, ভারি লাগছিল।”

আমি তখন আর নিজেকে থামাতে পারলাম না। বলেই ফেললাম, “মা, আমি রাত ২টার সময় ঘরের সামনে পায়ের আওয়াজ শুনেছি। দরজা খুলে দেখি কেউ নেই।”

মা চুপচাপ হয়ে গেলেন। অদ্ভুতভাবে তিনি অবাক হলেন না। যেন এই জিনিসটা তিনি অনেকদিন ধরে টের পাচ্ছিলেন, শুধু সাহস করে কাউকে বলেননি।

এরপর থেকেই অদ্ভুত ঘটনা যেন বেড়েই চলল।

মাএকদিন বলল, “রাতের বেলা কেউ যেন আমাকে দেখে হেসে চলে যাচ্ছে, আবার চোখ খুললে কেউ নেই।”

বোন বলল, “আমি রাতে দরজার ওপাশে কারা কথা বলছে শুনি। এক পুরুষ কণ্ঠ, এক মহিলা—কিন্তু কথা বোঝা যায় না।”

একদিন সকালে উঠে দেখি রান্নাঘরের দেওয়ালে হালকা করে লালচে রঙে আঁচড়ের মতো দাগ—যেন কেউ নখ দিয়ে আঁচড়ে দিয়ে গেছে, কিন্তু কেউ জানে না সেটা কখন হল।

আমাদের ঘরে সকালবেলা সুগন্ধি ধূপ জ্বালানোর নিয়ম ছিল। হঠাৎ একদিন দেখা গেল, ধূপটা একদম অর্ধেক পর্যন্ত জ্বলে থেমে গেছে—যেন কেউ নিজে হাতে নিভিয়ে দিয়েছে।

আর সবচাইতে ভয়ানক ঘটনা ঘটল কয়েকদিন পর—এক রাতে মা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কথা বলতে লাগলেন।

আমি পাশেই ছিলাম। হঠাৎ দেখি মা খুব অস্বাভাবিক কণ্ঠে বিড়বিড় করছেন। কান পেতে শুনি, তিনি বলছেন—

“তুই আমার পথ আটকাস না... আমি ওদের নিয়ে যাব... সব নিয়ে যাব... ওরাও যাবে...”

এই কণ্ঠটা ছিল মায়ের নয়। এই কণ্ঠ ছিল রুক্ষ, গভীর, পুরুষালি এবং অদ্ভুত।

আমি কাঁপতে কাঁপতে মাকে না জাগিয়ে শুধু ধূপের ধোঁয়া ছড়িয়ে দিলাম। গঙ্গাজলের বোতল মাথার পাশে রেখে দিলাম।

পরদিন সকালে মা কিছুই মনে করতে পারলেন না।

তখন আমরা বুঝে গেলাম—এটা শুধু হিংসা নয়, শুধু অভিশাপ নয়—এটা কোনো সচেতন কালো শক্তির প্রভাব।

এবং সেই কালো শক্তি এখন আমাদের ঘরেই ঢুকে গেছে। আমাদের বিশ্বাস, সম্পর্ক, আর বাস্তবতাকে ধীরে ধীরে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে।

আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম—আমাদের আত্মীয়রাই কি এর পেছনে......?

তারা কি সত্যিই এমন কিছু করিয়ে নিয়েছে?

আমাদের শেষ করার জন্য এতদূর যেতে পারে?

এই প্রশ্নের উত্তর আমি তখনও জানতাম না।

কিন্তু আমি জানতাম—আর চুপ করে থাকা যাবে না।

আমাদের কিছু একটা করতেই হবে।

ঘটনার ঘনঘটা যখন চূড়ায়, তখন আমরা বুঝে উঠতে পারছিলাম না—কি করব, কোথায় যাব, কার কাছে ভরসা পাব। আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কাউকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, আর পুরোহিত কিংবা ওঝারাও যেন এই জিনিসের গভীরতাটা বুঝতে পারছিল না।

ঠিক তখনই বন্ধু নূরের কথা মনে পড়ল। নূর একবার বলেছিলো—“যদি কখনও কোনো অদ্ভুত শক্তির সম্মুখীন হও, তবে আমাকে স্মরণ করো। মানুষটা যেমন রহস্যময়, তেমনই নির্ভরযোগ্য। ওর কাছেই সত্যিকারের তন্ত্রশক্তি আছে, কিন্তু ও কখনও অহং করে না।”

এক সন্ধ্যেবেলা নূর আমাদের বাড়িতে এলো—চুপচাপ, ধূসর পাঞ্জাবি গায়ে, চোখে একধরনের স্থির গভীর দৃষ্টি। বয়স বোঝা যায় না, মুখে দাড়ি, গলায় একটা তামার তাবিজ।

ঘরে ঢুকে সে কিছু বলেনি। শুধু একবার পুরো বাড়িটা চক্কর দিয়ে দেখলো। তারপর মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন—

“ঘরটায় বরাবরই সমস্যা ছিল। এখন এখানে একটা প্রেত পুরো জায়গা দখল করে ফেলেছে। কিন্তু চিন্তা নেই, আমি আছি। এটা সরাতে একটু সময় লাগবে, তবে আমি ওকে ফেরত পাঠাতে পারব।”

সে ছোট একটা ব্যাগ থেকে কয়েকটা বস্তু বের করলো—সাদা ও লাল কাপড়, কিছু লাল সুতো, ধূপ, আর এক ধরনের কাচের পাত্র, যার মধ্যে গাঢ় সবুজ কোনো তরল পদার্থ।

সে বাড়ির ভিতর কয়েকটি জায়গায় ছিটিয়ে ছিটিয়ে সেই তরল দিলো—বিশেষ করে মায়ের বিছানার চারপাশে, রান্নাঘরের কাছে, আর সেই করিডোরে, যেখানে প্রথমবার আমি পায়ের আওয়াজ শুনেছিলাম।

এরপর নূর ধ্যানমগ্ন হয়ে পড়লেন। হালকা গলায় মন্ত্রোচ্চারণ করছিল—অদ্ভুত ভাষা, যেটা আমাদের কারও চেনা নয়, কিন্তু প্রতিটি শব্দ যেন বাতাসের মধ্যে কাঁপুনি তুলছিল।

ঘরের বাতাস ভারী হয়ে উঠল। যেন নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। মা হঠাৎ খিঁচুনি দিয়ে উঠে বসলেন। চোখ খোলা, কিন্তু দৃষ্টি ফাঁকা।

নূর সঙ্গে সঙ্গে পায়ের কাছে রাখা ধূপটা একবার ঘুরিয়ে বললেন— “ওকে যেতে বলো। এখান থেকে ওর স্থান সরে গেছে।”

হঠাৎ করে একটা ঠান্ডা হাওয়া গোটা ঘর দিয়ে বয়ে গেল। মা ধপ করে আবার বিছানায় পড়ে গেলেন—ঘুমিয়ে পড়লেন, নিস্তব্ধ।

তারপর নূর ভাই বললেন,

“এটা ছিল চালানের প্রেত। কেউ একজন একান্তভাবে চেয়েছে তোমাদের পরিবারকে শেষ করতে। কিন্তু আমি ওকে সরিয়ে দিয়েছি। তবে এটা আবার ফিরে আসার চেষ্টা করবে, যদি আমরা পথ খোলা রাখি।”

সে বাড়ির মূল দরজার ওপরে, জানালার পাশে, আর মায়ের ঘরের সামনে ছোট ছোট রক্ষাত্মক তাবিজ গেঁথে দিলো। তারপর ঘরের ঠিক মধ্যিখানে একটা তামার তালা এনে বললো—

“এই তালা শুধু বস্তুত নয়, আধ্যাত্মিকভাবে এই ঘরকে বন্ধ করে রাখবে। যতক্ষণ এটা খোলা না হয়, কোনো অপশক্তি এই ঘরে প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু এক শর্ত—এই তালা কেউ না খোলে, যতদিন না আমি নিজে বলি।”

আমরা সম্মত হলাম। সেই তালা তখন থেকেই আমাদের ঘরের এক প্রহরী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

এরপর থেকে ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হতে লাগল। মায়ের অদ্ভুত অসুস্থতা বন্ধ হল, রান্নাঘরের দেওয়াল পরিষ্কার, রাতের পায়ের আওয়াজ নিঃশব্দে মিলিয়ে গেল।

বোন আর কারও কণ্ঠ শুনতে পায় না।

আর আমি… আমি যেন প্রথমবার নিজের ঘরে একফোঁটা নিরাপত্তা টের পেলাম।

তবে মাঝে মাঝে, গভীর রাতে, তালার দিকে তাকালে মনে হয়—ওটার মধ্যে একটা কিছু এখনো জেগে আছে। কিছু… যেটা হয়তো পুরোপুরি চলে যায়নি, শুধু আটকে রাখা হয়েছে।

তবু এই ভেবে নিশ্চিন্ত হলাম-- নূর ভাই তো আছে। ও কালো যাদুর সব সমস্যার সমাধান করতে পারে।

চলবে….................

Post a Comment

0 Comments